chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

করোনায় চট্টগ্রামের ৮ জনসহ ৩৭ জনের মৃত্যু, মোট মৃত্যু ২৬১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসের ১৩৪ তম দিনে চট্টগ্রামের ৮ জনসহ আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।  এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬১৮ জনে।

এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২ হাজার ৪৫৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।  দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪ হাজার ৫২৫ জনে।

আজ রোববার (১৯ জুলাই) ঢাকার মহাখালী থেকে নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

এ সময় তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৪৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৬৪২ জন। সারা দেশ থেকে আরও ১০ হাজার ৯৩৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৮০টি ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ৬২৫টি নমুনা। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ লাখ ২৮ হাজার ২৯৯টি নমুনা।

ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, নিহত ৩৭ জনের মধ্যে  ২৯ জন পুরুষ ও আটজন নারী রয়েছেন।  এর মধ্যে ১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ৮ জন চট্টগ্রামের। এছাড়া, খুলনা বিভাগে সাত, সিলেটে দুই, রাজশাহীতে তিন, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মারা গেছে।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নিহতদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন,  ৪১ থেকে ৫০ বয়সের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে চারজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের একজন ও ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছে।

বরাবরের মতোই বুলেটিনে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে করোনা গত ছয় মাসে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে।

দেশে করোনা সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

করোনায় মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

 

এসএএস/

এই বিভাগের আরও খবর