জলমগ্ন নগরীর অধিকাংশ নিচু এলাকা, হাসপাতালে হাঁটু পানি
নিজস্ব প্রতিবেদক :সামান্য বৃষ্টিতে পানিতে তলিয়ে গেল চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ নিচু এলাকা। জোয়ারের পানি ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল। হাসপাতালের নিচ তলায় হাঁটু পানি হওয়াতে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামীকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে।
আজ রোববার সকালে বৃষ্টির পানির সঙ্গে জোয়ারের পানি মিশে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকা। কোথাও কোথাও হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে আছে। নগরীর আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, সিডিএ আবাসিক, শান্তিবাগ, ব্যাপারি পাড়া, হালিশহর, বাকলিয়া, রাহাত্তারপুর, পাথরঘাটা, রশিদ বিল্ডিং, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চকবাজারসহ অনেক স্থান ডুবে আছে পানিতে। জলাবদ্ধতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
পানি ঢুকে পড়েছে বাসাবাড়ি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও বিভিন্ন দোকানে। যার কারণে চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে নানা কাজে ঘর থেকে বের হওয়া হাজারো মানুষজনকে।
অসহনীয় কষ্ট সইতে হচ্ছে যানজটের কারণে। বৃষ্টির পানি মাঝে মাঝে কমলেও জোয়ারের পানি যোগ হওয়ায় জলাবদ্ধতা দূর হচ্ছে না।
দোকানদাররা বলছেন, সকালে দোকান খুলতে এসে দেখে দোকানের ভেতর পানি ঢুকে পড়েছে। যার কারণে তারা দোকান খুলতে পারছে না। দোকানের ভেতর হাঁটু সমান পানি।
চাকরীবীজীরা বলেন, বাসা থেকে বের হয়ে কাজে যাওয়ার সুযোগ নেই। অনেকে বাধ্য হয়ে সকালে অফিসে চলে গেছেন।
আগ্রাবাদ হোটেলের সামনে সিএনসি অটোরিক্সা চালক মো. সেলিমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে সকাল থেকে ভাড়া নিতে পারছে না। একটা যাত্রী নিয়ে আগ্রাবাদ এসে রাস্তার পানিতে গাড়ি আটকে পড়ে। ইঞ্জিনের ভেতর পানি ঢুকে যাওয়ায় গাড়ি স্টার্ড নিচ্ছে না।
রোববার সকালে নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জোয়োরের পানি ও বৃষ্টির পানিতে হাসপাতালের নিচু তলায় হাঁটুপানি।
যার জন্য চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ব্যাহত হয়েছে চিকিৎসাসেবা। মা ও শিশু হাসপাতালের আশপাশে পানি জমে আছে।
নগরীর কিছু কিছু এলাকার রাস্তায় পানি জমে থাকাতে শিশুদের সেই পানিতে খেলা করতেও দেখা গেছে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবাহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল বলেন, শনিবার বেলা ১২ টা থেকে রোববার বেলা ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি বলেন,কোন সতর্ক সংকেত না থাকরেও আগামীকাল সোমবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত ভারীথেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। যদি অতিভারী বর্ষণ হয় তবে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
এসএএস/এনসি/চখ