chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আগ্রাবাদে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি, কিশোরের আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ বাদামতলী বড় মসজিদ গলির ভেতর নিজ বাসায় মারুফ নামের এক কিশোর গলায় ফাঁস লাগিয়ে অত্মহত্যা করেছে৷ জানা গেছে ‘আসামি’ ধরতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। এ সময় আসামি যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে৷

ঘটনার ঘন্টা দেড়েক পর রাত পৌনে ১২টা নাগাদ ডবলমুরিং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে লাশ উদ্ধার করতে গেলে এলাকাবাসি ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়৷

বিক্ষুব্ধ স্থানীয়বাসীন্দারা বলেন, গলির ভেতর অন্ধকারের মধ্যে এলাকার বাড়ীর পেছনে এক অপরিচিত লোককে দেখে মারুফ সহ স্থানীয়রা চোর ভেবে পিটুনি দেয়। তবে সেই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশের সোর্স বলে পরিচয় দেয়। এরপর ঘটনাস্থলে সাদা পোষাকের ডবলমুরিং থানার পুলিশ এসে ধরপাকড় শুরু করলে মারুফ লুকিয়ে যায়৷ এসময় পুলিশ তার মা-বোনকে আটক করে নিয়ে যায়। পুলিশের হাতে মা-বোন লাঞ্চিত ও আটক হওয়ায় মারুফ আত্মহত্যা করে৷

তবে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধ্বস্তির একপর্যায়ে মারুফের বোন বেহুশ হয়ে গেলে পুলিশ দ্রুত মা-মেয়েকে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ এদিকে মা-বোনকে পুলিশ থানায় ধরে নিয়ে গেছে এই অপমান ও ক্ষোভে মারুফ তার চাচার ঘরের ফিলিং ফ্যানের সাথে কাপড় বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করছে।

কিশোর মারুফের ঝুলন্ত মরদেহ
কিশোর মারুফের ঝুলন্ত মরদেহ

মারুফের সঙ্গে হাতাহাতিতে এসআই হেলাল খানের টি-শার্ট ছিঁড়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে নগর পুশিশের উপ কমিশনার (পশ্চিম)মো. ফারুক উল হক চট্টলার খবরকে বলেন, ডবলমুরিং থানার পুলিশের একটি টহল টিম এক আসামিকে ধরতে বাসায় গেলে আসামি পালিয়ে যায়। বাসায় আসামির বোন অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলে পুলিশ ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু পরে শুনতে পায় সেখানে এক কিশোর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। কেন আত্মহত্যা করেছে তা অজানা। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

এসআই হেলাল খান

এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ডবলমুরিং থানার এসআই হেলাল খানকে ক্লোজড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এএএম হুমায়ুন কবির।
এসএএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর