chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

অর্ধশতাধিক মামলার আসামি সাহেদ

সারাদেশে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। তার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা আছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্টের মামলাসহ ৫৯টি মামলা রয়েছে সাহেদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৫ জুলাই) ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্তের দেবহাটা থানার লবঙ্গবতি নদীর কোমরপুর ব্রিজের পাশের একটি ড্রেনের ভেতর বোরকা পরে শুয়ে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয় সাহেদকে। গ্রেপ্তারের আগে নদী পার হয়ে ভারতে পালানোর জন্য নদী তীর দিয়ে ছদ্মবেশে ঘুরছিলেন সাহেদ। তা দেখে নদীতে মাছ ধরা স্থানীয় জেলেরা ভেবেছিলেন পাগল। নৌকাও একটা পেয়েছিলেন। কিন্তু বিধি বাম। নৌকার মাঝি তাকে পার করতে রাজি হননি।

এরই মধ্যে চলে আসে র‌্যাবের গাড়ি। র‌্যাবের উপস্থিতি লক্ষ্য করে উপায় না দেখে শাখরা কোমরপুর ব্রিজের পাশে একটি ছোট্ট ড্রেনে লুকিয়ে পরেন সাহেদ। ছদ্মবেশে বোরকা পরে ড্রেনে লুকিয়েও শেষ রক্ষা হলো না। ড্রেন থেকে টেনে তুলে তাকে হাতকড়া পরানো হয়। বুধবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে তাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে র‌্যাবের গোয়েন্দা দল। গ্রেপ্তারের পর হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কোমরপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম জানান, শাখরা কোমরপুর ব্রিজের পাশে একটি ছোট ড্রেন রয়েছে নর্দমার মতো। সেই ড্রেনের ভেতরে বোরকা পরে শুয়ে ছিলেন প্রতারক সাহেদ। জেলেরা ভেবেছিলেন কোনো পাগল শুয়ে আছে। আমাদের এলাকায় এমন একজন পাগল রয়েছে। সে যেখানে সেখানে শুয়ে থাকে। এরপর র‌্যাবের তিনটি গাড়ি আসে পর পর। চিৎকার করতে থাকে, এই পেয়েছি এই পেয়েছি। আমরা তখন মসজিদে নামাজ পড়ে বের হয়েছি মাত্র। বোরকা পরা অবস্থায় র‌্যাব তাকে বের করে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যায়।

এমআই/

এই বিভাগের আরও খবর