‘কে-৯ ডগ স্কোয়ার্ড’ একদল বুদ্ধিমান কুকুর
ডেস্ক নিউজ: কে-৯ ডগ স্কোয়ার্ড হল বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট যা মুলত বিমানবন্দরের নিরাপত্তা, মাদক এবং চোরাচালান বিরোধী অভিযান, এন্টি টেরর এবং উদ্ধার অভিযান পরিচালনার লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে।
২০০৭ সালে ৪টি জার্মান শেফার্ড এবং ৪ টি ল্যাব্রাডর প্রজাতির কুকুর বেলজিয়াম থেকে প্রশিক্ষন করিয়ে ১৮ সদস্যের ট্রেনার সহ ডিএমপির অধীনে প্রথম কে-৯ স্কোর্য়াড টি গঠন করা হয় এর দুই বছরের মধ্যে আরও ১৬ টি কুকুর আনা হয়। আর এই পুরো কাজে সহায়তা করে বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।
বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের অধিনস্থ সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিট, পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব), ক্রাইসিস রেস্পন্স টিম(সি আর টি), এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ(এএপি) সহ বেশ কিছু গোয়েন্দা ইউনিট এর নিজ্বস ডগ স্কোয়ার্ড রয়েছে৷ এই মূহুর্তে শুধু র্যাবের অধীনে ৪৯ টি জার্মান শেফার্ড এবং ল্যাব্রাডড় প্রজাতির কুকুর রয়েছে৷
এসব কুকুর বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত। বিস্ফোরক দ্রব, ক্যামিক্যাল, মাদকদ্রব্য সহ যেসব বস্তু আধুনিক প্রযুক্তির দ্বারা শনাক্ত করা সম্ভব নয় তাও খুজে বের করতে সক্ষম এসব কুকুর। বাংলাদেশের স্বর্ন খনি হিসাবে খ্যাত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবৈধ স্বর্ন চোরাচালান আটকাতে এই কে-৯ স্কোয়ার্ড বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
একটি কুকুর ৬ মাস থেকে ১ বছর বয়সে রিক্রুট করা হয়ে থাকে এবং ৬-৮ বছর পর্যন্ত এই কুকুর গুলো সেবা প্রদানের জন্য কার্যকর থাকে৷ এই কুকুর গুলোর জন্য আলাদা K9 Passport রয়েছে যার ফলে এই কুকুর গুলোকে অন্য দেশে সার্ভিস জীবনে ভ্রমনের জন্য পাসপোর্ট সুবিধা ব্যবহার করতে হয়।
বর্তমানে র্যাব ল্যাব্রডর আর দেশীয় সড়াইল এর একটি বিশেষ নেকড়ে কুকুর প্রজাতির ক্রস ব্রিড এর মাধ্যমে নতুন একটু কুকুরের সংস্করণ নিয়ে কাজ করছে যেটি সফল হলে এই প্রজাতির কুকুর গুলো কে র্যাবের রায়ট কন্ট্রোল ইউনিট এ যোগ করা হবে। সূত্র- ডিফেন্স রিসার্চ ফোরাম