chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সৈকত থেকে উদ্ধার ২০টি মৃত কাছিম

ডেস্ক নিউজ: কক্সবাজারের সৈকত থেকে ২০টি মৃত কাছিম উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত কাছিমগুলো অলিভ রিডলে প্রজাতির। এই ধরনের কাছিম বিপন্ন প্রজাতির হিসেবে আইইউসিএন তালিকাভুক্ত করেছে। এ ছাড়া আরও ১২টি কাছিম জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
পরিবেশবাদীরা ধারণা করছেন, প্লাস্টিকের বর্জ্যের মধ্যে চাপে পড়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে এসব কাছিম মারা গেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে কক্সবাজার সৈকতে ১২০ কিলোমিটার অংশের মধ্যে প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে টন টন প্লাস্টিকের বর্জ্য ভেসে আসছে। পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন প্লাস্টিকের বর্জ্যগুলো উদ্ধার করছে। ইতোমধ্যে কাছিম উদ্ধারের ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় খবর হয়েছে।
কাতারভিত্তিক আল জাজিরা, সংবাদ সংস্থা এএফপি কাছিম উদ্ধার নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এসব খবরে বলা হয়েছে, হঠাৎ করে কক্সবাজার সৈকতে প্লাস্টিকের বর্জ্যে ভেসে আসা বেড়ে গেছে। ফলে সাগরের থাকা জীব বৈচিত্র হুমকিতে পড়ে গেছে। এসব প্লাস্টিকের বর্জ্যের চাপে পড়ে বিভিন্ন প্রাণী মারা যাচ্ছে। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে কাছিম।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, অলিভ রিডলে প্রজাতির কাছিম পৃথিবীতে সংকটাপন্ন প্রাণী হিসেবে পরিচিত। খুব অল্প পরিমাণ অলিভ রিডলে প্রজাতির কচ্ছপ পৃথিবীতে রয়েছে। এসব কাছিম শুধু সাগরে বসবাস করে। তাই এই ধরনের কাছিমকে রক্ষায় আলাদাভাবে পরিকল্পনা নিতে হবে। নয়তো প্রজাতিটি হারিয়ে যাবে।
আল জাজিরাকে বাংলাদেশি একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, মারা যাওয়া কাছিমগুলোর বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। এগুলো প্লাস্টিকের বর্জ্যে চাপা পড়ে শ্বাস নিতে না পেরে মারা গেছে। কক্সবাজার বনবিভাগ এসব কাছিম উদ্ধার করেছে। পরবর্তীতে মৃত কাছিমগুলোকে বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জীবিত উদ্ধার কাছিমগুলোকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া যেগুলো সুস্থ মনে হচ্ছে সেসব কাছিমকে সাগরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্য ন্যাচার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, প্রতিবছর কক্সবাজার সৈকতে প্লাস্টিকের বর্জ্য ভেসে আসে। তবে এবার অতিরিক্ত প্লাস্টিকের বর্জ্য ভেসে আসছে। এটি আমাদের জন্য অশনিং সংকেত। এভাবে প্লাস্টিকের বর্জ্য ভেসে আসা সাগরের প্রাণীর জন্য হুমকি।
মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এসব কাছিম সৈকতের জীববৈচিত্র্যের জন্য আশীর্বাদ। কারণ কচ্ছপ সৈকতে থাকা ক্ষতিকর এক ধরনের প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে। কাছিম না থাকলে ক্ষতিকর প্রাণীটি সাগর ছেয়ে যাবে। তখন মাছসহ অন্যান্য প্রাণী টিকতে পারবে না। তাই সাগরে কচ্ছপের অনেক বেশি প্রয়োজন।

 

লকডাউন শুরুর পর কক্সবাজার সৈকতে ডলফিন ফিরে আসে। যেটি নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায়। পরবর্তীতে মৃত ডলফিন ভেসে আসতে শুরু করে। ধারণা করা হয়েছে, জেলেরা জালে আটকে যাওয়ার পর এসব ডলফিনকে মেরে ফেলেছে।

এমআই/
এই বিভাগের আরও খবর