chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নকল সুরক্ষা সামগ্রী বিক্রি করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা, কারখানা সিলগালা

নিজস্ব প্রতিবেদক : নকল সুরক্ষা সামগ্রী তৈরি ও বিক্রির দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও কারখানা সিলগালা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

শনিবার (১১ জুলাই) দুপুরে নগরীর জেল রোডে পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুক।

অভিযানে নগরীর জেল রোডে অবস্থিত মানিক এন্টারপ্রাইজ ও জমজম কেমিক্যাল & পারফিউমারী নামক দুটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এনএসআই নগর গোয়েন্দা শাখার নজরদারীর মাধ্যমে তাদের অবৈধ ব্যবসার ব্যপারে খোজ-খবর নিয়ে এর যথার্থতা পাওয়া যায়।ক্রেতা সেজে জমজম ক্যমিকেল & পারফিউমারী থেকে হ্যন্ড স্যানিটাইজার নিতে তাদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে দোকান মালিক জানান হ্যান্ড স্যানিটাইজার তিনি সরবরাহ করতে পারবেন এজন্যে অগ্রিম টাকা দিয়ে ৮০ লিটার হ্যন্ড স্যানিটাইজারের  অর্ডারও দেয়া হয়।

নকল সুরক্ষা সামগ্রী বিক্রি করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা, কারখানা সিলগালা

কিন্তু সরবরাহ করতে গেলেই গড়িমসি করতে থাকেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কারখানায় কাস্টমারকে আসতে নিরুৎসাহিত করতে থাকেন।তিনি ৮০ লিটার স্যানিটাইজার দিবেন তার বেধে দেয়া নির্দিষ্ট জায়গায় বা কাস্টমারের ঠিকানায়। যার ফলে ৮০ লিটার হ্যন্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করতে এলে হাতেনাতে ধরা হয় মানিক এন্টারপ্রাইজের মালিক মানিক ঘোষকে।অন্যদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের খবর পেয়ে জমজম কেমিক্যাল & পারফিমারী দোকানের মালিক দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান।

মানিক এন্টারপ্রাইজের মালিক  ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে স্বীকার করেন যে তিনি জমজম কেমিক্যাল ও পারফিউমারীর কাছে স্পিরিট ও মিথানল বিক্রি করেন ও হ্যন্ড স্যানিটাইজার বিক্রয়ে সহায়তা করেন ও নিজেও বিক্রয় করে।যার ফলে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রয় ও মানুষের সাথে প্রতারণার দায়ে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।

এদিকে জমজম কেমিক্যাল ও পারফিউমারী দোকানের মালিক মনসুর আলী ভ্রাম্যমাণ আদালতের খবর পেয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়।তিনি কারখানায় তৈরী করা নকল সুরক্ষা সামগ্রী বিভিন্ন পন্থায় বিক্রয় করে আসছেন।মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তিনি অর্ডার সংগ্রহ করেন ও নির্দিষ্ট জায়গায় সরবরাহ করেন। তিনি বিভিন্ন জেলায় ট্রাকের মাধ্যমে  ড্রাম ভর্তি স্যানিটাইজার সরবরাহ করেন। দোকান তালা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় জমজম কেমিক্যাল ও পারফিউমারী দোকানটি সিলগালা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক জানান, গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে জেল রোড এলাকায় নকল সুরক্ষা সামগ্রী বিক্রয়ের কারখানার অনুসন্ধান করে দুটি দোকানকে শাস্তির আওতায় আনা হয়।

তিনি আরও জানান, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কিছু অসাধু ব্যক্তি অতিরিক্ত লাভের আশায় নিজেরাই বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যাল সামগ্রী মিশ্রনের মাধ্যমে হ্যন্ড স্যানিটাইজার তৈরী করে বাজারজাত করে আসছে।যা মানুষের স্বাস্থের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকর।

ম্যাজিস্ট্রেট জানান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে ভেজাল বা নকল করতে উদ্যত অসাধুদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং অনেককেই কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারীর মাধমে বাকীদের ব্যাপারেও খোজ নেয়া হচ্ছে। যাদেরকেই এসব অনিয়মের সাথে জড়িত পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়ে হবে এবং এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে ছিলেন এনএসআই নগর গোয়েন্দা শাখা ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মো কামরুল হাসান।

এএমএস/

এই বিভাগের আরও খবর