chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

হোল্ডারে তছনছ ইংলিশ ব্যাটিং লাইন-আপ

করোনা পরিস্থিতির পর সাউদাম্পটন টেস্ট দিয়ে মাঠে ফিরেছে ক্রিকেট। আর ফিরেই দাপট দেখাল ক্যারিবীয় পেসাররা। আরও নির্দিষ্ট করে বললে দলটির অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ৬ উইকেট নিয়ে ইংলিশ ব্যাটিং লাইন-আপ গুড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

প্রায় চার মাস পর ক্রিকেট মাঠে ফিরলেও বৃষ্টিতে প্রথম দিনে বল গড়িয়েছিল মাত্র ১১৪টি। তবে দ্বিতীয় দিনে ইংলিশদের উপর ঝড় বইয়ে দিয়েছেন হোল্ডার। ইংল্যান্ড অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক দুইজনের উইকেট দিয়ে শিকার শুরু করেন হোল্ডার। একে একে ৬ উইকেট নিয়ে ইংলিশদের গুটিয়ে দেন মাত্র ২০৪ রানেই। ২০ ওভারের বোলিং স্পেলে হোল্ডার দিয়েছেন মাত্র ৪২ রান।

২০১০ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ১২১ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সেই সময়ের বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। হোল্ডার আর সাকিবের পারফরম্যান্সের মাঝে এই এক দশকে ইংল্যান্ডে আর কোনো অধিনায়ক ৫ উইকেট পাননি।

টেস্টের প্রথম দিনই ডম সিবলিকে বোল্ড করে ফিরিয়েছিলেন গ্যাব্রিয়েল। দ্বিতীয় দিন ১ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। আর দিনের শুরুতে জো ডেনলিকেও ১৮ রানে বোল্ড করেন পেসার গ্যাব্রিয়েল। এক ওভার বিরতি দিয়ে ডানহাতি এই পেসার এলবিডব্লিউ করেন ৩০ রান নিয়ে আস্থার সঙ্গে খেলতে থাকা ররি বার্নসকেও।

এরপরই ইংলিশ শিবিরে ধস নামান ক্যারিবীয় অধিনায়ক। জ্যাক ক্রলি আর অলি পোপকে অল্প রানেই সাজঘরে ফেরান তিনি। ক্রলিকে ১০ রানে এলবিডব্লিউ এবং পোপকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন ১২ রানে। ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ইংল্যান্ড।

ষষ্ঠ উইকেটে প্রতিরোধের চেষ্টা চালান অধিনায়ক স্টোকস আর জস বাটলার। দায়িত্ব নিয়েই খেলছিলেন স্টোকস। এ সময় ফের বাধা হয়ে দাঁড়ান হোল্ডার। ৪৩ রানে থাকা স্টোকসকে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন হোল্ডার।

এক ওভার বিরতি পর বাটলারকেও (৩৫) উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানান হোল্ডার। তারপরের ওভারে আরও এক উইকেট। পাঁচ উইকেটের কোটা পূরণ করেও হোল্ডার থামেননি। মার্ক উডকে ৫ রানে আউট করেন তিনি।

দশম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলে জেমস অ্যান্ডারসনকে নিয়ে ডম বেস। তাদের ৩০ রানের জুটিটি ভাঙেন গ্যাব্রিয়েল, জেমস অ্যান্ডারসনকে ১০ রানে বোল্ড করেন তিনি। ৩১ রানে অপরাজিত থেকে যান ডম বেস।

গ্যাব্রিয়েল পান ৬২ রানে ৪ উইকেট। অন্যদিকে অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ৪২ রানে নিলেন ৬ উইকেট।

এই বিভাগের আরও খবর