chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

করোনায় প্রাণ হারালো ৪১ জন, চট্টগ্রামের ১৪ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারি করোনাভাইরাসের এখনো কার্যকর কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এরইমধ্যে বিশ্বে আক্রান্ত প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ এবং মৃত্যু সাড়ে ৫ লাখ ছাড়িয়েছে। বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানিরা প্রতিষেধক আবিষ্কারের দাবি করলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ১৪জনসহ দেশে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৩৮ জনে।

এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ হাজার ৩৬০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৫  হাজার ৪৯৪ জনে।

বুধবার (৮ জুলাই) ঢাকার মহাখালী থেকে নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

এসময় তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৭০৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮৪ হাজার ৫৪৪ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৮.১৭ শতাংশ। নতুন করে সারা দেশে থেকে ১৫ হাজার ৮৬২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৭৬টি ল্যাবে ১৫ হাজার ৬৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখন পর্যন্ত মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ লাখ ৪ হাজার ৭৮৪ জনের নমুনা।

শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ জানিয়ে তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ, ১২ জন নারী। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুবরণ করেছেন  ১ হাজার ৭৭০ জন পুরুষ ও ৪৬৮ জন নারী।

২৪ ঘণ্টায় নিহতদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের ১৪ জন, ১২ জন ঢাকা বিভাগের, খুলনা বিভাগের ৬ জন, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী দুইজন করে ও রংপুর বিভাগের তিনজন মারা গেছে।

বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন,  ৪১ থেকে ৫০ বয়সের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে নয়জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুইজন।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মারা যান ৩৮ জন এবং বাসায় ৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৮৭৯ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে  রয়েছে ১৭ হাজার ৭৬৭ জন।

এদিকে, করোনার পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা পর্যন্ত বৈশ্বিক এ মহামারিতে সারা বিশ্বে ১ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার ৫৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭০ লাখ ৮১ হাজার ৪১০ জন সেরে উঠলেও প্রাণ গেছে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৩৮৫ জনের। বাকী ৪৫ লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৫ জন মৃদু বা মারাত্মক উপসর্গ নিয়ে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন।

দেশে করোনায় সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত চার মাসে বিশ্বের ২১৫টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

করোনায় মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

 

এসএএস/এএমএস

এই বিভাগের আরও খবর