চট্টগ্রামের ১১জনসহ করোনায় আরও ৪৪ জনের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জনসহ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৪ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৬ জনে।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ হাজার ২০১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬১৮ জনে।
সোমবার (৬ জুলাই) রাজধানীর মহাখালী থেকে নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
এ সময় তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৫২৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ৭৬ হাজার ১৪৯ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। নতুন করে সারা দেশে থেকে ১৫ হাজার ২০১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
‘দেশের ৬৮টি পিসিআর ল্যাবে ১৪ হাজার ২৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখন পর্যন্ত মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৮ লাখ ৬০ হাজার ৩০৭ জনের নমুনা।’
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, নিহতদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ, ১১ জন নারী। এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৬৫৭ জন পুরুষ ও ৪৩৯ জন নারী মারা গেছেন।
নিহত ৪৪ জনের মধ্যে ১৭ জন ঢাকা বিভাগের, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জন, বরিশাল বিভাগের চারজন, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের তিনজন করে, খুলনা, রংপুর ও ময়মনসিংহের দুইজন করে রয়েছেন।
বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বয়সের মধ্যে ছয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ছয়জন ও ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছে।
বুলেটিনে ডা. নাসিমা করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের আহ্বান জানান।
এদিকে, করোনার পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা পর্যন্ত বৈশ্বিক এ মহামারিতে সারা বিশ্বে ১ কোটি ১৫ লাখ ৭২ হাজার ১১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬৫ লাখ ৪৩ হাজার ৫২ জন সেরে উঠলেও প্রাণ গেছে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৪৭ জনের। বাকী ৪৪ লাখ ৯২ হাজার ২০ জন মৃদু বা মারাত্মক উপসর্গ নিয়ে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এসএএস/এএমএস