পুরো বিশ্বকে নাকানিচুবানি খাওয়ানো করোনা ভাইরাস এখনো পুরোদমে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯৯ জন মানুষ প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৫৪২ জন।
সোমবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় ৩ হাজার ৫৭২ জন মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। যার ফলে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৪৪৫ জনে।
বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন সোয়া ৬৫ লাখের অধিক রোগী।
শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ লাখ ৮২ হাজার ৯২৮ জন। না ফেরার দেশে ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৬৯ জন মানুষ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের দেশ ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪ হাজার ৫৮৫ জনে। প্রাণহানি ৬৪ হাজার ৯০০ জন।
আক্রান্তের তালিকায় ভারত এখন তিনে। রাশিয়াকেও ছাড়িয়ে গেছে নরেন্দ্র মোদীর দেশ। এখন পর্যন্ত সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখের কাছাকাছি। প্রাণহানি ১৯ হাজার ৭শ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় চারে থাকা রাশিয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৬ লাখ ৮১ হাজারের বেশি। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ১৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ পেরুতে আক্রান্ত ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৫৮৯ জনের।
চিলিতে ২ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি আক্রান্তে প্রাণ গেছে ৬ হাজার ৩০৮ জনের।
যুক্তরাজ্যে প্রায় ২ লাখ ৮৫ হাজার ৪১৬ জনের আক্রান্তে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ২২০ জনে।
মেক্সিকোতে আক্রান্ত ২ লাখ ৫৭ হাজার ছুঁই ছুঁই। প্রাণ গেছে ৩০ হাজার ৬৩৯ জনের।
ইউরোপে প্রথম আঘাত হানা ইতালিতে ২ লাখ ৪১ হাজার ৬১১ জন মানুষ করোনার শিকার। এর মধ্যে পৃথিবী ছেড়েছেন ৩৪ হাজার ৮৬১ জন।
ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৪০ হাজারের বেশি। প্রাণহানি ঘটেছে ১১ হাজার ৫৭১ জনের।
পাকিস্তানে করোনার শিকার ২ লাখ ২৮ হাজারের অধিক। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৭১২ জনের।
সৌদি আরবে করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৯ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৯১৬ জন।
তুরস্কে করোনার ভুক্তভোগী প্রায় ২ লাখ ৬ হাজার। প্রাণহানি ঘটেছে ৫ হাজার ২২৫ জনের।
বাংলাদেশে গতকাল শনিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ জন। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ২ হাজার ৫২ জনের। আর সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৭২ হাজার ৬২৫ জন।
এমআই/