চীনের সাথে ভারতের সীমান্ত উত্তেজনা চরমে। এর মধ্যেই করোনা পরিস্থিতির বেহাল দশা নরেন্দ্র মোদীর দেশের। প্রায় প্রতিদিনই করোনার নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে দেশটি। গত ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২৪ হাজার ৮৫০ জনের দেহে শনাক্ত হয়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)।এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ১৬৫ জনে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি তিন রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু)।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণহানি ঘটেছে ৬১৩ জনের। যা একদিনে মৃত্যুর নিরিখে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ২৬৮ জনের মৃত্যু হলো করোনায়।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৮৫৬ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৪ লাখ ৯ হাজার ৮৩ জন।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯৬ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ১২ হাজার ২৩৬ জনের করোনা পরীক্ষা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
ভারতে প্রাণহানির শীর্ষে বরাবরই মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে এ রাজ্যে সংক্রমণ দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে সেখানে করোনার ভুক্তভোগী ২ লাখ ৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আর প্রাণহানি ঘটেছে ৮ হাজার ৬৭১ জনের।
এক লাখের গণ্ডি পেরিয়েছে তামিলনাড়ু। গত একদিনে প্রায় আড়াই হাজার সংক্রমণে আক্রান্ত বেড়ে ১ লাখ ৭ হাজার একজনে পৌঁছেছে। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৫০ জনের।
রাজধানী দিল্লিতেও সংক্রমণ লাখের দিকে এগোচ্ছে। যেখানে এ পর্যন্ত করোনার শিকার ৯৭ হাজার ২শ জনে দাঁড়িয়েছে। কেজরিওয়ালের রাজ্যে প্রাণহানি ৩ হাজার ছাড়িয়েছে।
এছাড়া প্রতিনিয়ত সংক্রমণ বাড়ছে ৯টি প্রদেশে। এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা গুজরাট, বিহার, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্নাটক, কেরালা ও হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলোতে।
এছাড়া, পশ্চিমবঙ্গে করোনার শিকার এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ২৩১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭৩৬ জনের।
তবে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়লেও, হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও স্বস্তি দিচ্ছে ভারতবাসীকে। দেশটিতে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪২ জন।