মুক্তিযুদ্ধের সাব-সেক্টর কমান্ডার শওকত আলীর জানাজা দুপুরে
নিজস্ব প্রতিবেদক : মহান মুক্তিযুদ্ধের এক নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব) শওকত আলী (৬৮) বীর প্রতীক আর নেই।
রোববার দুপুরে বন্দর নগরীর গরিব উল্লাহ শাহ মাজারে জানাজা শেষে সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
শওকত আলীর ছেলে মো. ইমরান মোরশেদ আলী গণমাধ্যকে বলেন, শনিবার বিকাল ৫৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার বাবা মারা গেছেন।
তিনি হার্ট, লিভার ও কিডনি রোগে ভুগছিলেন। গত ১০ দিন ধরে সিএমএইচে ভর্তি ছিলেন।
মৃত্যুকালে শওকত আলী এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
পৈত্রিক নিবাস নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার কট্টেশ্বর গ্রামে হলেও তার বাবা রেলওয়ের চিফ ট্রাফিক ম্যানেজার এম আশরাফ আলী চাকরীসূত্রে তারা সপরিবারে নগরীর নাসিরাবাদ এলাকায় বসবাস করেন। তার মা শিরিন আরা বেগম। তার জন্ম চট্টগ্রাম শহরে।
শওকত আলীর নগরীর সেন্ট প্ল্যাসিড স্কুল থেকে ১৯৬৮ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে ১৯৭০ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শওকত আলী চট্টগ্রামে অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের সাথে যুক্ত হয়ে ১৯৭১ এর এপ্রিলে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা এবং নোয়াখালি জেলার মুহুরী নদীর পূর্বাংশের সমগ্র এলাকা নিয়ে গঠিত ১নং সেক্টরের অধীন ফেনী নদীর নিকটবর্তী এলাকায় অপারেশনের সময় পাকিস্তানী সেনাদের শেল এসে পড়লে ডান পায়ের গোড়ালির নিচে স্পিন্টার ঢুকে যায়। গৌহাটি বেইজ হাসপাতালে অপারেশন করে তা বের করে আনা হয়।
এরপর ১৯৭১ সালের মে মাসে রিক্রুট হন সেনাবাহিনীতে। তারপর সাড়ে চার মাস ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেন।
১২ অক্টোবর সেকেন্ড ল্যাফটেনেন্ট হিসেবে যোগ দেন ১ নম্বর সেক্টরে। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর রফিকুল ইসলাম।
শওকত আলীর মৃত্যুতে সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, জোনাল কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মির্জা আবু মনসুর ও মুক্তিযোদ্ধা মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী শোক জানিয়েছেন।
এসএএস/চখ