chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

হাসপাতালে ভর্তি নেপালের প্রধানমন্ত্রী

বুকে যন্ত্রণা অনুভব করায় নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলিকে হাসপাতালে  ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (১ জুলাই) কাঠমান্ডুর সাহিদ গঙ্গালাল ন্যাশনাল হার্ট সেন্টারে তাকে ভর্তি করা হয়।

তবে প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা সূর্য থাপা এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার কারণেই কেপি সিং অলি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

অলি বেশ কিছু দিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। গত মার্চে তার কিডনি প্রতিস্থাপন করাতে হয়। তার ভাইঝি সমীক্ষা সাংগ্রাউলা ডান কিডনি দান করেন। এই মাসেরই শেষর দিকে হার্ট রেট অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কারণে কেপি শর্মা অলিকে ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, নেপালে এখন অলির পদত্যাগের দাবি তীব্রতর হচ্ছে। শুধু বিরোধীরা নন, শাসকদল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির ভেতরেও এখন অলি-বিরোধী হাওয়া। দলের অনেক প্রবীণ নেতাই কেপি শর্মা অলিকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছেন না। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেয়ার জন্য অলির উপর চাপ বাড়ছে।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়ে চীনের সঙ্গে অলির মাখামাখি তারা ভালো চোখে দেখছেন না। সংগঠনের মধ্যেই এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুধু প্রধানমন্ত্রী পদ নন, অলিকে পার্টির প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার কথাও উঠেছে। স্বাভাবিক কারণেই চাপে পড়েছেন অলি।

সংগঠনে তাকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় মঙ্গলবার চাপে পড়েই মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন। বৈঠকে কো-চেয়ারপার্সন পুষ্প কমল দহল, মাধব নেপাল, ঝালানাথ খানাল, বামদেব গৌতমের মতো সংগঠনের সিনিয়র নেতারা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে তার ইস্তফা দাবি করেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অলি ব্যর্থ বলে তারা মনে করেন।

এদিকে ভারতের উসকানিতেই তার নেতৃত্ব নিয়ে আজ প্রশ্ন উঠছে বলে অভিযোগ করেন অলি। নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দেগে বলেন, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ভারত ষড়যন্ত্র করছে। নয়াদিল্লি অবশ্য অলির বক্তব্য নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর