chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামের ১৭ জনসহ করোনায় ৪১ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক : গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ ১৭ জন সহ দেশে মারা গেছেন ৪১ জন। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩ হাজার ৭৭৫ জন শনাক্ত হয়েছেন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪৮৪ জন।

এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট ১ হাজার ৮৮৮ জন মারা গেলেন। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৫৮ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬২ হাজার ১০২ জন।

বুধবার (১ জুলাই) দুপুরে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য তুলে ধরেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

এসময় তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৬৯টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নতুন করে যুক্ত হয়েছে গাজীপুরের ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ। করোনা পরীক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য তাদের ধন্যবাদ। ৬৯টি ল্যাবে এদিন নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ৮৯৮টি। আগের দিনের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার ৮৭৫টি। এ নিয়ে দেশে মোট ৭ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো।

বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যেসব নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, এর মধ্যে ৩ হাজার ৭৭৫ জনের শরীরে কোভিড-১৯-এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৫৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ১২ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ০৩ শতাংশ।

এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৪১ জন গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৮৮ জনে। আক্রান্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ৩৮ জন, নারী তিন জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২৩ জন, বাসায় মারা গেছেন ১৮ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৪১ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের। এছাড়া ঢাকা বিভাগের ১৩ জন, খুলনা বিভাগের ৫ জন, বরিশাল বিভাগের ৩ জন, সিলেট বিভাগের ২ জন ও রংপুর বিভাগের একজন মারা গেছেন।

অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ হাজার ৪৮৪ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৬২ হাজার ১০২ জন। আক্রান্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪১ দশমিক ৬১ শতাংশ।

এসময় তিনি সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে ঘরে থাকার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণেরও পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে করোনার এই মহামারিতে যারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত চার মাসে বিশ্বের ২১৫টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৪ লাখ ২১ হাজার ৪৯০ জন। মারা গেছেন ৫ লাখ ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে ৫৬ লাখ ৭৯ হাজারেরও বেশি রোগী ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।

করোনা মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

এসএএস/এএমএস

এই বিভাগের আরও খবর