চট্টগ্রামের ৯ জনসহ দেশে একদিনে করোনায় ৩৭ জনের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জনসহ আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ৫৮২ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩ হাজার ৪৬২ জন মহামারি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ২২ হাজার ৬৬০ জনে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (২৪ জুন) ঢাকার মহাখালী থেকে নিয়মিত অনলাইনে স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৬৬৬ জন।
তিনি বলেন, সারা দেশে নতুন করে ১৭ হাজার ২৪৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৬৬টি ল্যাবে ১৬ হাজার ৪৩৩ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৪৪৪টি নমুনা।
তিনি আরও জানান, নিহতদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ, ৯ জন নারী। ১০ জন ঢাকা বিভাগের, ৯ জন চট্টগ্রামের, খুলনা বিভাগের ৭ জন, রাজশাহীর ছয়জন, ময়মনসিংহের তিন জন এবং রংপুর ও বরিশাল বিভাগের একজন করে মারা গেছেন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, নিহতদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বয়সের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৯ জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে আটজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৪ জন এবং বাসায় তিনজন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৭৪৯ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৩ হাজার ১৫৮ জন।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত চার মাসে বিশ্বের ২১৫টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে।
করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।