হালদায় এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফা ডিম ছেড়েছে মা মাছ
নিজস্ব প্রতিবেদক : দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র মৎস্য প্রজননক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে মা মাছ এ বছর দ্বিতীয় দফায় ডিম ছেড়েছে।
এক মাসের ব্যবাধানে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলা সংলগ্ন নদীর বিস্তীর্ণ অংশের বিভিন্ন স্পটে মা মাছ নমুনা ডিম ছাড়ে। এরপর দিবাগত রাত ১২টার দিকে সীমিত পরিসরে ডিম ছাড়ে।
গত কয়েকদিনের বর্ষণের ফলে হালদার সঙ্গে সংযুক্ত খাল, ছড়া ও নদীতে ঢলের সৃষ্টি হয়। ওই সময় থেকে ডিম সংগ্রহের সরঞ্জাম নিয়ে নদীর পাড়ে অবস্থান নেন ডিম আহরণকারীরা।
এরপর শুক্রবার বিকেলে ডিম সংগ্রহের জন্য নৌকা, জাল, বালতি নিয়ে নদীর বিভিন্ন অংশে অবস্থান নিয়ে ডিম আহরণকারীরা রুইজাতীয় মাছের নিষিক্ত নমুনা ডিম সংগ্রহ করেন।
রাউজান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পীযুষ প্রভাকর বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নমুনা দেওয়ায় সংগ্রহকারীরা ডিম ধরতে নদীতে নেমেছিল। কিন্তু তখন ডিম না পাওয়ায় তারা নদী থেকে উঠে যান। তবে গভীর রাতে মা ডিম ছাড়লেও অনেকে তা জানে না। এ জন্য নদীতে মৎস্যজীবীর সংখ্যা ছিল কম।
হালদা বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া জানান, দ্বিতীয়বারের মতো হালদার মা মাছ ডিম দিয়েছে। তবে এর পরিমাণ কত তা হিসেব করতে জানাতে সময় লাগবে।
গত ২২ মে হালদা নদী থেকে প্রথম দফায় রেকর্ডসংখ্যক ২৫ হাজার ৫৩৬ কেজি ডিম সংগ্রহ করা হয়। যা গত এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। তবে, দ্বিতীয়বার ডিমের সংখ্যা বেশি নয় বলে জানিয়েছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা লাভলি আক্তার বলেন, শুক্রবার শেষ রাতে হালদায় মা মাছ ডিম ছেড়েছে। এটা অনেকটা নমুনা ডিমের মতো। আমরা নদীতে আছি। হিসাব করলে বলতে পারব কী পরিমাণ ডিম ছেড়েছে।