chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

লকডাউনে ওজন বেড়ে ২৮০ কেজি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক নিউজ : চীনের উহান শহরের নাম এখন কে না জানে! করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসেবে খ্যাত, কিংবা বলা ভালো, ‘কুখ্যাত’ এ শহর। টানা পাঁচ মাস শহরটিকে লকডাউনে রেখে ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লড়াই চালিয়েছে চীন। কতটা সফল হয়েছে, সে অন্য প্রসঙ্গ। ঘটনা হলো, এই পাঁচ মাসের লকডাউন-কালে পাঁচ-দশ নয়, ১০০ কেজি ওজন বেড়ে গেছে ২৬ বছর বয়সী এক চীনা যুবার!

যুবক জো আগে যে খুব হালকা-পাতলা ছিলেন, তা নয়; তবে পাঁচ মাসের লকডাউনে বাসায় থাকতে থাকতে সব তালগোল পাকিয়ে গেল!

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সুরক্ষার জন্য ওই যুবকের পুরো নাম প্রকাশ করেনি গণমাধ্যম। শুধু ‘জো’ ডাকনামই ব্যবহার করা হয়েছে তার।

লকডাউনের আগে তিনি যে খুব হালকা-পাতলা লোক ছিলেন, তা নয়; তবে নিয়মিত সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার চেষ্টা করতেন। কাজ করতেন এক স্থানীয় ক্যাফেতে। লকডাউনেই সব তালগোল পাকিয়ে গেল! বাসায় থাকতে থাকতে কখন যে এত মোটা হয়ে গেলেন, টেরই পাননি!

লকডাউন শেষে তার অবস্থা শোচনীয়। মোটামুটি অতিকায় বেলুনে পরিণত হয়েছেন। ওজন দাঁড়িয়েছে ২৮০ কেজি। তার মানে, লকডাউনের সময়ে ওজন বেড়েছে কম করে হলেও ১০০ কেজি।

জো’র এই পরিণতি প্রকাশ পায় এ মাসের শুরুর দিকে। উহান ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল সাউথ হসপিটালের এক চিকিৎসক এই ‘রোগী’র লকডাউন-পূর্ববর্তী ছবি মিলিয়ে দেখেন, সর্বনাশ হয়ে গেছে! চিকিৎসককে জো জানান, লকডাউনের পর তিনি বাসা থেকে একদম বের হননি। এক সময় খেয়াল করেন, স্বাস্থ্যের কারণে ঠিকমতো ঘুমোতেও পারছেন না। তাই বাধ্য হয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন।

বলিক সার্জারি সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. লি জেনের কাছে জো মিনতি করেন, “গত ৪৮ ঘণ্টা আমি দু’চোখের পাতা এক করতে পারিনি। খুবই অস্বস্তি হচ্ছে। আমাকে একটু সাহায্য করবেন, প্লিজ?”

এর আগে তিনি আরও কিছু চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তারা এত মোটা একটা লোককে কোনো রকম সাহায্য করতে অপারগতা জানান। খবর অডিটি সেন্ট্রালের।

এরপর করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কাজ করা একটি টিম ১ জুন বহু কষ্টে জো’কে তার ঘর থেকে বের করে অ্যাম্বুলেন্সে তোলেন। তাকে সামলাতে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছিল তাদের। সোজা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। প্রাথমিক কিছু পরীক্ষার পর ধরা করে হার্ট ফেল ও শ্বাসকষ্টসহ নানা রকমের উপসর্গ।

দুর্ভাগ্যক্রমে তার ওজনের কারণেই ব্লাড প্রেসার ও ইইজি-সহ প্রয়োজনীয় আরও বেশ কিছু পরীক্ষা করতে পারেননি চিকিৎসকরা। এরপর ১০ দিন ধরে তারা নিরন্তর চেষ্টা চালান জো’র অবস্থা স্থিতিশীল রাখার। অবশেষে ১১ জুন তাকে আশঙ্কামুক্ত ঘোষণা করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর