chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

কাট্টলীতে লকডাউনের প্রথমদিন, কাজে যাচ্ছে শত শত গার্মেন্টস কর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক: মঙ্গললবার রাত থেকে কঠোর লকডাউন করা হয় চসিকের ১০ নং উত্তর কাট্টলী এলাকা। বন্ধ করা হয় ওই এলাকায় প্রবেশের ২০ পথ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা। কিন্তু কঠোরতা টিকে থাকল মাত্র কয়েক ঘন্টা। লকডাউন ভেঙ্গে শত শত গার্মেন্টস কর্মী। ফলে সংক্রমণ আরও বাড়ার শঙ্কা সংশ্লিষ্টরা। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে মেয়র এসে এলাকার ১৪ টি প্রবেশপথের সবগুলো বন্ধসহ লকডাউন করেন উত্তর কাট্টলি ওয়ার্ড। প্রায় এক সপ্তাহ আগ থেকে এলাকায় এ নিয়ে মাইকিং-লিফলেট দেয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রথম দিনই লগডাউন মানা হচ্ছে না। সকালে সারা শহর থেকে হাজার হাজার গার্মেন্টসকর্মী লকডাউন করা রেডজোনে প্রবেশ করেছেন।

এর মধ্যে সকাল ৭ টা ৩০ মি‌নি‌টের দিকে উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের কর্নেল হাট বাজার সংলগ্ন ‘কর্নেল জোনস্ রোড দিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকদের লকডাউন এলাকায় প্রবেশের ছবি জাগো নিউজের হাতে এসেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অবাধে হাজারও বহিরাগত এলাকায় প্রবেশ করলেও তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা সিটি করপোরেশনের কাউকে দেখা যায়নি।

লকডাউন চলাকালীন সময়ে রেডজোন ঘোষিত এলাকায় প্রবেশ ও বাইরে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। এ লক্ষে ওই এলাকার ২০টি প্রবেশপথ চিহ্নিত করে তা বন্ধ করে দেয়ার দাবি করেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

প্রবেশপথগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কর্নেল টোল রোড, ঈশান মহাজন রোড, মোস্তফা হাকিম কলেজ রোড, সাগরিকা বিটেক রোড, কৈবল্যধাম রোড, নিউ মনছুরাবাদ রোড, সিডিএ আবাসিক রোড, সাগরিকা আলিফ রোড।

স্থানীয়রা জানা, আগামী ২১ দিনের লকডাউনকে সামনে রেখে এলাকাবাসী ধার কর্জ করে, বাজার সদাই করে মধ্যরাত থেকে বাড়িতে ঢুকেছে। অনেকে স্বর্ণ বন্ধক রেখেছেন এ কদিন লকডাউন মেনে বাসায় থাকার জন্য। অথচ উত্তর কাট্টলি ওয়ার্ডের ভেতরে থাকা শিল্প এলাকা ও ১৪টি গার্মেন্টসের কোনোটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি।

এভাবে সারা শহর থেকে গার্মেন্টস কর্মীরা যদি উত্তর কাট্টলি ওয়ার্ডে প্রবেশ করে তাহলে সারা বছর লকডাউন করলেও এখান থেকে করোনা সংক্রমণ কমানো যাবে না।

এই বিভাগের আরও খবর