জোরপূর্বক বাসে তুলে ধর্ষণ, অতঃপর র্যাবের হাতে আটক
তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে মো. ইসমাইল নামে একজনকে আটক করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার ( ০৯ জুন ) ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে নগরীর বায়েজিদ থানাধীন শহিদ নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
ভিকটিম র্যাব-৭ এ লিখিত অভিযোগে জানায়, গত ০৭ জুন সকাল ৮ টার দিকে একটি বেভারেজ কোম্পানিতে প্রতিদিনের মতো কাজে যোগদানের জন্য অক্সিজেন মোড়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করেছিল। উক্ত সময়ে প্রচন্ড বৃষ্টি থাকায় একটি দোকানের সামনে ভিকটিম ও তার সহকর্মীসহ আশ্রয় নেয়।এ সময় অক্সিজেন মোড়ের একজন ব্যাক্তি মেয়েটিকে জোরপূর্বক থেমে থাকা বাসে তুলে ধর্ষণ করে।
এ সময় ধর্ষকের কয়েকজন সহযোগী ভিকটিমের সাথে থাকা সহকর্মীকে মারধর করে মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। ধর্ষণ শেষে আসামী ভিকটিমকে ভয় দেখিয়ে বলে এ কথা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলবে। মেয়েটি ভয়ে ঘটনার দিন থানায় অভিযোগ করেন নি। পরের দিন ৮ জুন তার অভিভাবকসহ র্যাব-৭, এসে ধর্ষণের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করে। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে ধর্ষককে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
এরই ধারাবাহিকতায়, ৯ জুন র্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন শহিদ নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানার মৃত আবু তাহেরের ধর্ষক মোঃ ইসমাইল (৩২) কে আটক করে। পরবর্তীতে ভিকটিম ও ঘটনার দিন ভিকটিমের সাথে থাকা সহকর্মী ধর্ষককে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-৭ এর ব্যাপক জিজ্ঞাবাসাদে আসামী মোঃ ইসমাইল (৩২) ভিকটমকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। এখানে আরো উল্লেখ্য যে, আসামীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানায় ২ টি মাদক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে ধর্ষনের অপরাধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।