chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বদলি করা হলো স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবকে

করোনা সঙ্কটের এই সময়ে মাস্ককাণ্ডসহ নানা আলোচনার মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে।

 

তার পরিবর্তে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আব্দুল মান্নান, যিনি একসময় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) আসাদুল ইসলামকে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব পদে বদলি করে আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

বিসিএস অষ্টম প্রশাসন ব্যাচের কর্মকর্তা মান্নান চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি সচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান হন।

মাস্ককাণ্ড নিয়ে আলোচনার মধ্যে এর আগে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক পদেও পরিবর্তন আনা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পিপিই নীতিমালা অনুযায়ী রোগীর নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য এন-৯৫ মাস্ক পরা জরুরি। কিন্তু মার্চের শেষ ভাগে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে যেসব মাস্ক পাঠানো হয়, তার প্যাকেটে ‘এন-৯৫’ লেখা থাকলেও ভেতরে ছিল সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক।

ফলে সেগুলো আসল মাস্ক কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা; বিষয়টি সে সময় সংবাদ মাধ্যমেও আসে।

মুগদা জেনারেল হাসপাতালে সরবরাহ করা মাস্কের প্যাকেটে সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক থাকায় হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী ওই মাস্কের মান সম্পর্কে জানতে চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালককে চিঠি দেন।

বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের তখনকার পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদ উল্লাহ ২ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্রিফিংয়ে স্বীকার করেন, ওই মাস্ক সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক ছিল। প্যাকেটের গায়ে জন্য এন-৯৫ লেখা হয়েছিল ‘ভুল করে’।

হাসপাতালে কীভাবে ‘ভুল মাস্ক’ গেল সে বিষয়ে পরে পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে একটি ব্যাখ্যা দেন সিএমএসডি পরিচালক।

এ নিয়ে ‘মানহানিকর সংবাদ’ প্রকাশিত হচ্ছে অভিযোগ করে সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “অপপ্রচারগুলিতে ইচ্ছাকৃতভাবে উপরোক্ত ব্যক্তিবর্গকে জড়িয়ে মিথ্যা রাজনৈতিক এবং চরিত্রগত রটনারও অবকাশ করা হচ্ছে।”

এই বিভাগের আরও খবর