শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্পান ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলা রাজ্যকে ১ হাজার টাকা অর্থসাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থসাহায্য করা হবে। পাশাপাশি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে একটি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলও রাজ্যে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আম্পান-এ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যের বিধ্বস্ত জেলাগুলির পরিস্থিতি আকাশপথে পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। এর পর বসিরহাটে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে করতে সেখানে পৌঁছন মোদী। সেখানে ধনখড় এবং মমতাকে সঙ্গে নিয়ে আমপানের জেরে জেলায় ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করেন। বৈঠকের পর ওড়িশায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনেও যান তিনি
এদিকে সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ কলকাতায় নামে প্রধানমন্ত্রীর বিমান। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ দলীয় নেতা-নেত্রীরাও।
মোদির পরিদর্শন শুরুর আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ দিন আকাশপথে রাজারহাট, গোসাবা, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি এবং হিঙ্গলগঞ্জ পরিদর্শন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। এর পর বিমানবন্দর থেকে বসিরহাটের উদ্দেশে রওনা দেয় প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার।
এছাড়া, কলকাতা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, ১৭৩৭ সালের পর এমন দুর্যোগ আর হয়নি। আমপানের তাণ্ডবে রাজ্যে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতায় ১৯ জন এবং বিভিন্ন জেলায় ৬১ জন মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা-সহ রাজ্যের অন্তত ১৩টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সাত-আটটি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এবং আরও চার-পাঁচটি জেলা বিপর্যস্ত।